ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের আলোচিত অলি মেম্বারকে হত্যার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি ইকবাল ও তাঁর সহযোগী নৈমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গেল ২৯ জানুয়ারি (রোববার) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের অলি মেম্বারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় ইকবাল গংরা।
হত্যাকান্ডের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল সিরাজুল ইসলামের তত্বাবধানে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম এর নেতৃত্বে বাঞ্ছারামপুর থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম যৌথভাবে আসামিদের আটক করতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বের হয় এবং হত্যাকান্ডের ৩৬ ঘন্টার মধ্য মামলার প্রধান আসামি তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫৪) ও তাহার প্রধান সহযোগী একই গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে নৈমুদ্দিন (৩৮)কে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। আসামি আসামী ইকবাল ও নৈমুদ্দিন অলি মেম্বারকে হত্যার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে নিজেদের ও অন্যান্যদের জড়িয়ে ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো জানায়, অলি মেম্বারের সাথে ইকবাল ও তার গ্রুপের লোকদের সাথে কয়েক বছর ধরে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই জের ধরে ২৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টা ৩০ ঘটিকায় ইকবাল গ্রুপের নৈমুদ্দিনকে অলির বাড়ীর সামনে পেয়ে ধাওয়া দেয়। তখন নৈমুদ্দিন ফোন দিয়ে সবুজ, ইকবাল, সজল, মিস্টার সহ ১০/১২ জনকে আসতে বলে। ইকবাল, সবুজ, নৈমুদ্দিন সহ উল্লিখিত সকল টেটা, রাম দা নিয়ে এসে অলি মেম্বারকে ঘিরে ফেলে এবং টেটা বিদ্ধ করে, কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেম্বারের মেয়ে আশামনি বাদী হতে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এনডি/প্রিন্স
অলি মেম্বার হত্যার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি ও সহযোগী গ্রেপ্তার
- আপলোড সময় : ০২-০২-২০২৩ ০১:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন